Thursday 22 May 2025




সর্বশেষ













মর্জিনার জীবন: যেখানে দারিদ্র্য চিৎকার করে, তবু স্বপ্ন মরে না।

যে বয়সে হাতে বই-খাতা থাকা উচিত, সে বয়সে হাঁড়ি-পাতিল, কাপড় কাচা আর অসুস্থ বাবার দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে প্রতিদিন নতুন করে বাঁচার চেষ্টা করে ছোট্ট মেয়েটি—মর্জিনা খাতুন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের মোহনা পঞ্চায়েতের গয়েশপুর গ্রামে জন্ম নেওয়া মর্জিনার জীবন যেন একটি মর্মান্তিক বাস্তবতার কাহিনি। বর্তমানে সে গোপালগঞ্জ রঘুনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। তার এক সমবয়সী ভাই স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। তবে মর্জিনার পরিবারের পরিস্থিতি যে কোনও সাধারণ পরিবারের চেয়ে অনেক বেশি জটিল। বাবা মকসেদুল মন্ডোল মন্ডোল প্যারালাইসিসে আক্রান্ত, সম্পূর্ণ শয্যাশায়ী না হলেও কাজকর্মে পুরোপুরি অক্ষম। মা মানসিক ভারসাম্যহীন এবং বেশিরভাগ সময়ই বাড়ির বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়ান। সংসারে নেই কোনো স্থায়ী উপার্জনের উৎস। কোনোরকমে ভিক্ষা করে আর স্থানীয় কিছু মানুষের দয়া-সহানুভূতির ওপর নির্ভর করেই চলছে তিনজনের জীবন। তাদের বাসস্থানটি এতটাই জরাজীর্ণ ও অব্যবস্থাপূর্ণ যে সেটিকে বাসযোগ্য বলা কঠিন। বৃষ্টির দিনে ছাদ চুইয়ে পড়ে জল, বাড়ির আনাচে-কানাচেতে মাঝেমধ্যে দেখা যায় বিষধর সাপ। নেই কোন বিদ্যুৎ সংযোগ। শুধু তাই নয়, বাড়ির এমন অবস্থা যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র রাখারও কোনও সুরক্ষিত জায়গা নেই। সবকিছু যেন এক অনিশ্চয়তা ও শঙ্কার মাঝে ডুবে থাকা জীবন। এই অবস্থাতেই মর্জিনার প্রতিদিন শুরু হয়, সকালে রান্না করে বাবাকে স্নান করিয়ে খাইয়ে সেবা যত্ন করে এবং ঘরের কাজ শেষ করে সে স্কুলে যায়। মর্জিনা পড়াশোনায় হয়তো খুব উজ্জ্বল নয়, কিন্তু তার আগ্রহ ও নিষ্ঠা প্রশ্নাতীত। স্কুলের শিক্ষকরা জানান, "ওর মতো মেয়ে আজকের দিনে দুর্লভ। এত কষ্টের মধ্যেও পড়াশোনার প্রতি ওর টান আমাদের অভিভূত করে। ও যদি একটু সহায়তা পায়, ভবিষ্যতে অনেক কিছু করতে পারে।" গ্রামের কিছু সহৃদয় মানুষ মাঝে মাঝে খাবার, পুরনো জামাকাপড় বা কিছু অর্থ দিয়ে সহায়তা করেন। কিন্তু তা স্থায়ী নয়। মর্জিনার মতো শিশুরা সরকারি সাহায্য, সমাজের সচেতন শ্রেণির সহানুভূতি ও সংহতির অপেক্ষায় দিন গোনে। স্কুলে যাওয়া থেকে শুরু করে জীবনধারণের ন্যূনতম চাহিদা—সবই এখানে সংগ্রামের সমার্থক। এই পরিবারটির কথা জানার পর স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ হওয়া জরুরি। সরকারি সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প যেমন — ‘আবাস যোজনা’, ‘প্রতিবন্ধী ভাতা’ ‘অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনা’ ইত্যাদি প্রকল্পের আওতায় এনে মর্জিনাদের জীবন কিছুটা হলেও সহজ করা সম্ভব। মর্জিনার জীবন একটি প্রশ্নচিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে সমাজের সামনে—একটি শিশু কতটা দুঃখ সহ্য করে বড় হতে পারে? সেই প্রশ্নের জবাব আমাদেরই দিতে হবে, আজ না হোক কাল। কারণ, এই শিশুটির স্বপ্ন হারিয়ে গেলে শুধু একটিই জীবন নয়, হেরে যায় একটি সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ, হারে যায় সমাজ। এই বিষয়ে মোহনা পঞ্চায়েত এর প্রধান সুনীল সরকার সরকার কে প্রশ্ন করলে,তিনি যানান,মকসেদুল তার সাহায্যের বিষয়ে কোন আবেদন যানান নি,তবে এক গ্রাম বাসী যানান মকসেদুল মন্ডোল বহুবার সেখানকার বিধায়ক তরাপ হোসেন মন্ডোল কে যানিয়েও কোন লাভ হয়নি।।।

Saturday

মর্জিনার জীবন: যেখানে দারিদ্র্য চিৎকার করে, তবু স্বপ্ন মরে না।

Saturday : যে বয়সে হাতে বই-খাতা থাকা উচিত, সে বয়সে হাঁড়ি-পাতিল, কাপড় কাচা আর অসুস্থ বাবার দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে প্রতিদিন নতুন করে বাঁচার চেষ্টা করে ছোট্ট মেয়েটি—মর্জিনা খাতুন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের মোহনা পঞ্চায়েতের গয়েশপুর গ্রামে জন্ম নেওয়া মর্জিনার জীবন যেন একটি মর্মান্তিক বাস্তবতার কাহিনি। বর্তমানে সে গোপালগঞ্জ রঘুনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। তার এক সমবয়সী ভাই স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। তবে মর্জিনার পরিবারের পরিস্থিতি যে কোনও সাধারণ পরিবারের চেয়ে অনেক বেশি জটিল। বাবা মকসেদুল মন্ডোল মন্ডোল প্যারালাইসিসে আক্রান্ত, সম্পূর্ণ শয্যাশায়ী না হলেও কাজকর্মে পুরোপুরি অক্ষম। মা মানসিক ভারসাম্যহীন এবং বেশিরভাগ সময়ই বাড়ির বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়ান। সংসারে নেই কোনো স্থায়ী উপার্জনের উৎস। কোনোরকমে ভিক্ষা করে আর স্থানীয় কিছু মানুষের দয়া-সহানুভূতির ওপর নির্ভর করেই চলছে তিনজনের জীবন। তাদের বাসস্থানটি এতটাই জরাজীর্ণ ও অব্যবস্থাপূর্ণ যে সেটিকে বাসযোগ্য বলা কঠিন। বৃষ্টির দিনে ছাদ চুইয়ে পড়ে জল, বাড়ির আনাচে-কানাচেতে মাঝেমধ্যে দেখা যায় বিষধর সাপ। নেই কোন বিদ্যুৎ সংযোগ। শুধু তাই নয়, বাড়ির এমন অবস্থা যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র রাখারও কোনও সুরক্ষিত জায়গা নেই। সবকিছু যেন এক অনিশ্চয়তা ও শঙ্কার মাঝে ডুবে থাকা জীবন। এই অবস্থাতেই মর্জিনার প্রতিদিন শুরু হয়, সকালে রান্না করে বাবাকে স্নান করিয়ে খাইয়ে সেবা যত্ন করে এবং ঘরের কাজ শেষ করে সে স্কুলে যায়। মর্জিনা পড়াশোনায় হয়তো খুব উজ্জ্বল নয়, কিন্তু তার আগ্রহ ও নিষ্ঠা প্রশ্নাতীত। স্কুলের শিক্ষকরা জানান, "ওর মতো মেয়ে আজকের দিনে দুর্লভ। এত কষ্টের মধ্যেও পড়াশোনার প্রতি ওর টান আমাদের অভিভূত করে। ও যদি একটু সহায়তা পায়, ভবিষ্যতে অনেক কিছু করতে পারে।" গ্রামের কিছু সহৃদয় মানুষ মাঝে মাঝে খাবার, পুরনো জামাকাপড় বা কিছু অর্থ দিয়ে সহায়তা করেন। কিন্তু তা স্থায়ী নয়। মর্জিনার মতো শিশুরা সরকারি সাহায্য, সমাজের সচেতন শ্রেণির সহানুভূতি ও সংহতির অপেক্ষায় দিন গোনে। স্কুলে যাওয়া থেকে শুরু করে জীবনধারণের ন্যূনতম চাহিদা—সবই এখানে সংগ্রামের সমার্থক। এই পরিবারটির কথা জানার পর স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ হওয়া জরুরি। সরকারি সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প যেমন — ‘আবাস যোজনা’, ‘প্রতিবন্ধী ভাতা’ ‘অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনা’ ইত্যাদি প্রকল্পের আওতায় এনে মর্জিনাদের জীবন কিছুটা হলেও সহজ করা সম্ভব। মর্জিনার জীবন একটি প্রশ্নচিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে সমাজের সামনে—একটি শিশু কতটা দুঃখ সহ্য করে বড় হতে পারে? সেই প্রশ্নের জবাব আমাদেরই দিতে হবে, আজ না হোক কাল। কারণ, এই শিশুটির স্বপ্ন হারিয়ে গেলে শুধু একটিই জীবন নয়, হেরে যায় একটি সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ, হারে যায় সমাজ। এই বিষয়ে মোহনা পঞ্চায়েত এর প্রধান সুনীল সরকার সরকার কে প্রশ্ন করলে,তিনি যানান,মকসেদুল তার সাহায্যের বিষয়ে কোন আবেদন যানান নি,তবে এক গ্রাম বাসী যানান মকসেদুল মন্ডোল বহুবার সেখানকার বিধায়ক তরাপ হোসেন মন্ডোল কে যানিয়েও কোন লাভ হয়নি।।।

2025-05-03

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে অবৈধভাবে চলছে গ্যাস রিফিলিং

Saturday : দক্ষিণ দিনাজপুর :কার্যত প্রশাসনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন জায়গায় অলিগলিতে মুড়ি মুড়কির ন্যায় অনিয়ন্ত্রিত উপায়ে অবৈধভাবে চলছে গ্যাস রিফিলিংয়ের কাজ । পাড়ার মুদির দোকান ও অনেক বসতবাড়িতে অনিয়ন্ত্রীতভাবে গ্যাস ভর্তির কাজ হচ্ছে। এইসব পাড়া বা দোকানের সামনে দিয়ে গেলে গ্যাসের তীব্র গন্ধ সবসময় পাওয়া যায় । তা থেকে যখন তখন ঘটতে পারে মারাত্মক ও ভয়াবহ ঘটনা। তাছাড়া একটি বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অসাধু ব্যবসায়ীরা গ্যাস খোলা বাজারে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্যাস ব্যবসায়ী বলেন, ‘বাজারে এই গ্যাসের চাহিদা প্রচুর । আমাদের দোষ দিয়ে লাভ কি, খরিদ্দার চায় তাই আমরা বিক্রি করি। বাড়ির গ্যাস শেষ হয়ে গেলে অনেক সময় বুকিং করে পাওয়া যায় না, তখন তারা বাজারের এই খোলা গ্যাসের উপর নির্ভরশীল। জানি কাজটা অবৈধ ও মারাত্মক কিন্তু কি করবো পেট চালাতে হবেতো।’ প্রসঙ্গত, জেলার সদর শহর বালুরঘাট সহ বুনিয়াদপুর ও গঙ্গারামপুরের বিভিন্ন পাড়ার দোকান বা রাস্তার ধারে বিভিন্ন জায়গায় দোকান গুলিতে উঁকি দিলেই দেখতে পাওয়া যায় গ্যাস ভর্তির কাজ চলছে। এসবকিছুই প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘটছে । তবুও তাদের এব্যাপারে কোনও হেলদোল নেই। নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে প্রশাসন । এই বিষয়ে এক পরিবেশবিদ ও সাহিত্যিক দিলীপ তালুকদার বলেন, ‘অনিয়ন্ত্রীত ও অবৈধভাবে গ্যাস ভর্তির কাজটা যেমন খুব ঝুঁকির তেমনি এটা বেআইনি কাজও বটে । জানিনা প্রশাসন সব জেনেও চুপ কেন ? অতি স্বত্তর বেআইনি গ্যাস ভর্তির কাজগুলিকে প্রশাসনের বন্ধ করা দরকার। এটাও ঠিক যারা একাজ করছেন তারা শুধুমাত্র পেটের দায়ে করছেন । বাজারের জিনিষের দাম অগ্নিমূল্য হওয়াতে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকেই, তাই তারা অধিক মুনাফা লাভের আশায় এই কাজ করছেন। আসলে সর্বোপরি সরকারকে অর্থনৈতীক ব্যবস্থা ও দ্রব্যমুল্যের সঠিক ভাবে নিয়ত্রণ করা দরকার।’

2025-04-19

ইন্টারনেটের যুগে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার সিনেমা হলগুলি

Friday : দক্ষিণ দিনাজপুর: ডিজিটাল জেনারেশানের সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম ইন্টারনেটের প্রভাবে বর্তমানে হারিয়ে যাচ্ছে প্রাচীন বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম সিনেমা হল। সারা রাজ্যের পাশাপাশি দক্ষিন দিনাজপুর জেলাতেও বহু সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে। আবার কোন কোন সিনেমা হল খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে এখন। এমন কিছু সিনেমা হল এর সন্ধানে বেরিয়ে ধরা পড়লো কিছু ছবি।দর্শক না থাকার দরুন দিনের পর দিন লোকসানে পড়া বিভিন্ন সিনেমাহলের মালিক কর্তৃপক্ষ। এক এক করে বহু পুরাতন সিনেমাহল গুলি বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে বছরের পর বছর সিনেমা হলের বহু কর্মী কাজ হারিয়ে অন্য পেশায় চলে গিয়েছেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুর সহ বুনিয়াদপুরে ছিল অনেক সিনেমা হল। সে আজ থেকে বছর দশেক আগেকার কথা। ওই সময় এইসব সিনেমা হল গুলিতে রমরমা বাজার ছিল। সারাদিন কাজের পর সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখার মজাটাই ছিল আলাদা। আর এইসব সিনেমা হল গুলিতে বহু কর্মী কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু সে সব এখন ইতিহাস। সময়ের সাথে বদলাচ্ছে বর্তমান পরিস্থিতি। হলে গিয়ে সিনেমা দেখার জায়গাটা আজ করে নিয়েছে সিরিয়াল। ইন্টারনেটের যুগে সিনেমা হলে গিয়ে টানা তিন ঘন্টা এক জায়গায় বসে সময় নষ্ট করার পাশাপাশি পয়সা খরচ না করে ইন্টারনেটের মাধ্যমেই ঘরে বসে পছন্দ অনুযায়ী সিনেমা দেখার জন্য আজ আর সিনেমা হলে দর্শক পাওয়া যায় না। তাই বছরের পর বছর লোকসান হতে হতে আজ এইসব এলাকার বহু সিনেমা হল গুলি বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন হলের মালিক কর্তৃপক্ষ। তার বদলে সেই সিনেমা হল গুলি পরিণত হয়েছে গুদামে। আর জেলার কয়েকটি এলাকার সিনেমা হলগুলি দর্শক না হওয়ায় টিপটিপ করে লন্ঠনের আলোর মতো চলছে। বুনিয়াদপুরের এক বিনোদন প্রেমী বিশ্বপ্রীয় সাহা দুঃখের সাথে জানান, আগে প্রচুর মানুষ সিনেমা হলে আসতো সিনেমা দেখতে কিন্তু এখন আর আসে না তার কারণ একটাই এখন ভালো কোনো সিনেমা তৈরি হচ্ছে না সমস্ত তাই হচ্ছে শহরকেন্দ্রিক। তাই গ্রাম বাংলার মানুষরা এই সিনেমা দেখতে আর আসছে না সিনেমা হলে। এর পাশাপাশি হাতের মুঠোয় ইন্টারনেট মোবাইল এবং ইউটিউব চলে আসায় নিত্যনতুন সিনেমাটা তারা পেয়ে যাচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে তাই আর তাদের আসতে হচ্ছে না সিনেমা হলে ফলে আজ সিনেমা হল গুলি ঢুকতে বসেছে। আগামীতে লাভের মুখ না দেখতে পেলে সিনেমা হল গুলি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হল মালিকের একাংশ। অপরদিকে জেলার বুনিয়াদপুরের একটি ঐতিহ্যবাহী গৌরী সিনেমা হলের মালিক ফান্টু সেন জানান কতদিন তারা আর লোকসানে বিনোদন দিবেন মানুষকে নিজেদের ঘরের পয়সা ঢেলে। কারণ একটা সিনেমা আনতে যেমন প্রচুর খরচ সাপেক্ষ তেমনি সারা মাসে সিনেমা চালিয়ে তার সিকিভাগও লাভ উঠে আসে না। তাই বাধ্য হয়ে সিনেমা হল তারা বন্ধ করে দিয়েছে কিন্তু কিছুই করার নেই প্রচুর মানুষ বেকার হয়ে গেছে এখন সেই সিনেমা হলে মালপত্র রাখা হয়। অপরদিকে জেলার এক উঠতি যুবক শান্তনু ঘোষ জানান, একটা সময় তারা বাড়ির সকলে মিলে এসে সিনেমা হল গুলিতে সিনেমা দেখতে আসতো কত মজা হত কিন্তু আজ সেই মজা নেই কারণ এখন সেই সিনেমা হল গুলি আগের অবস্থায় নেই। পাশাপাশি হাতের মুঠোয় এখন ইন্টারনেট মোবাইল চলে আসায় এখন সব সিনেমায় সঙ্গে সঙ্গে মানুষ দেখে ফেলছে ফলে সিনেমা মুখী হওয়ার প্রবণতা কমে গেছে মানুষের মধ্যে। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। অপরদিকে বর্তমানে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে জেলার বুনিয়াদপুর গৌরী সিনেমা হলের পাশে দীর্ঘদিন ধরে পান বিড়ি সিগারেটের দোকানদার নিতাই সরকার জানালেন তিনি দীর্ঘ ২০ বছর ধরে এই সিনেমা হলের পাশে দোকান করছেন একটা সময় প্রচুর মানুষ সিনেমা দেখতে আসতো তার চোখে দেখা হিমশিম খেতে হত মানুষকে লম্বা লাইনে টিকিট কাটার ধুম ছিল আলাদাই কিন্তু আজ সেই সব হারিয়ে গেছে এখন হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন দর্শক ভীড় জমান সিনেমা হলে।একটা সময় নির্জন জায়গায় টানা তিন ঘন্টা সকলের অজান্তেই প্রেমিক – প্রেমিকাদের উৎসাহ যোগাতে নির্জন জায়গায় টানা তিন ঘন্টা নিরিবিলি তে প্রেমিক যুগল সিনেমা দেখার জন্য বক্সের ভাড়া ছিল আকাশ ছোঁয়া। এইভাবে লোকসান ঠেকাচ্ছিলেন হল কর্তৃপক্ষরা। কিন্তু সেখানেও বাধা দিল পুলিশ। ইতিমধ্যে বিভিন্ন সিনেমা হল গুলির ওইসব বক্সে রেট করে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েছে অনেক প্রেমিক প্রেমিকাও। সব মিলেয়ে বর্তমানে সিনেমা হল গুলি এখন ধুঁকছে ।

2025-04-18

জগদ্দল বিধানসভার বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের সহযোগিতায় ৩২ তম বর্ষে পদার্পণ করল শ্রী শ্রী শান্তি হরিচাঁদ মন্দির বাৎসরিক উৎসব।

Thursday : মতুয়া সংঘাধিপতি ও রাজ্যসভায় সাংসদ মমতা বালা ঠাকুরের নির্দেশে এবং জগদ্দল বিধানসভার বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের সহযোগিতায় ৩২ তম বর্ষে পদার্পণ করল শ্রী শ্রী শান্তি হরিচাঁদ মন্দির বাৎসরিক উৎসব। উৎসবের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যারাকপুর লোকসভা সাংসদ পার্থ ভৌমিক জগদ্দল বিধানসভা বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তি ফাউন্ডেশনে কর্ণধার পায়েল ঘোষ (বড়ুয়া), জগদ্দল থানার আইসি মহাবীর বেরা সহ তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক জনপ্রতিনিধি ও নেতৃত্ববৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মতুয়া ধর্ম প্রচারক নান্টু হালদার। এছাড়া এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত প্রায়ই শতাধিক পাগল ঘোষাই দলপতিবৃন্দ।

2025-03-13

কোচবিহার

মাধ্যমিক পরীক্ষার এডমিট হাতে পেলো হলদিবাড়ি হাইস্কুলের এক মেধাঅবশেষেবী ছাত্র।

Monday : মাধ্যমিক পরীক্ষার এডমিট হাতে পেলো হলদিবাড়ি হাইস্কুলের এক মেধাঅবশেষেবী ছাত্র। রবিবার হলদিবাড়ি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসে সে তার এডমিট কার্ড সংগ্রহ করে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এবছর স্কুলের ৩০০জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৯৯জনের এডমিট কার্ড পায়।শুধুমাত্র শুভ রায় এর এডমিট আসেনি। এদিকে এক মেধাবী ছাত্র এডমিট না পাওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে হলদিবাড়ির শিক্ষানুরাগী সহ বিভিন্ন মহল। জানা যায় পোর্টালে জন্য কোচবিহার জেলায় মোট 13 জন মাধ্যমিকের এডমিট পাইনি। এই নিয়ে হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায় বিষয়টি। শেষে হাইকোর্টের নির্দেশে পোর্টাল খুলে দেওয়া হয়। যারা এডমিট পায়নি এডমিট এর জন্য এপ্লাই করে। এর জন্য অবশ্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে ফাইন ভরতে হয়। রবিবার সকালে দার্জিলিং মেলে করে এডমিট এসে পৌঁছয় হলদিবাড়ি হাই স্কুলে। তারপর সকাল ১১:৩০ নাগাদ ওই ছাত্রের হাতে এডমিট তুলে দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। এডমিট পাওয়ার পর খুশি ওই ছাত্র সহ তার বাবা মা স্কুল কর্তৃপক্ষ সহ তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

৩৬ তম রাজ্য ভাওইয়া সংগীত প্রতিযোগিতা দিনহাটার বলরামপুর হাই স্কুল মাঠে আজ শুভ সূচনা হলো l

Monday : বলরামপুর : দিনহাটা ; কোচবিহার ৩৬ তম রাজ্য ভাওইয়া সংগীত প্রতিযোগিতা দিনহাটার বলরামপুর হাই স্কুল মাঠে আজ শুভ সূচনা হলো l রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ বিভাগ এবং উপজাতি বিষয়ক স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী বুলু চিক বড়াইক উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার চেয়ারম্যান পার্থ প্রতিম রায় সহ অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিদের উপস্থিতিতে ৩৬তম ভাওইয়া সংগীত প্রতিযোগিতা প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শুভ সূচনা হয় l প্রতিযোগিতা চলবে আজ ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ।

আজ সোমবার সরস্বতী পুজোর শুভ দিনে কোচবিহারের চেংরাবান্দায় উদ্বোধন করা হলো ওয়েস্ট বেঙ্গল মিডিয়া ফোরামের (West Bengal Media Forum) নতুন কার্যালয়।

Monday : কোচবিহার ফেব্রুয়ারী ৩ - আজ সোমবার সরস্বতী পুজোর শুভ দিনে কোচবিহারের চেংরাবান্দায় উদ্বোধন করা হলো ওয়েস্ট বেঙ্গল মিডিয়া ফোরামের (West Bengal Media Forum) নতুন কার্যালয়। উত্তরবঙ্গের বিশেষ করে ডুয়ার্স অঞ্চলে সংবাদ জগতের বিকাশ ও ইতিবাচক তথ্য পরিবেশনের লক্ষ্যেই এই নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হলো। এই নতুন কার্যালয় থেকে বিশেষ করে ডুয়ার্স অঞ্চল-সহ উত্তরবঙ্গের একটি বড় অংশে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি বিশেষ করে ডিজিটাল মাধ্যমে সঙ্গে যুক্ত গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের একত্রিত করা ও গঠনমূলক সাংবাদিকতা ও শিল্পবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে মিডিয়া ফোরামের সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। এদিন এই কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন পজেটিভ বার্তার এমডি মলয় পীট। সঙ্গে ছিলেন অল বেঙ্গল নার্সিং হোমস এন্ড হসপিটালস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এর রাজ্য জয়েন্ট সেক্রেটারি ও বীরভূম জেলা সম্পাদক

বিরোধী দল কংগ্রেসের ৪ জন পঞ্চায়েত সদস্য, ও বিজেপির ২ জন পঞ্চায়েত সদস্য সহ প্রায় ৫০০ জন কর্মী তৃণমূলে যোগদান করলেন।

Sunday : মালদা:- এবারে বিরোধী দল কংগ্রেসের ৪ জন পঞ্চায়েত সদস্য, ও বিজেপির ২ জন পঞ্চায়েত সদস্য সহ প্রায় ৫০০ জন কর্মী তৃণমূলে যোগদান করলেন।মোথাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের মোথাবাড়ির প্রধান কার্যালয়ে তৃণমূলের এই যোগদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের উপস্থিতিতেই কংগ্রেস ও বিজেপি দল ছেড়ে আসা নেতা কর্মীরা তৃণমূলের ঝান্ডা হাতে তুলে নেন । যোগদান শিবিরে উপস্থিত হয়ে তৃণমূলের দলীয় ঝান্ডা হাতে তুলে নেন । এরফলে মোথাবাড়ি বিধানসভার অন্তর্গত রথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের অনেকটাই সংগঠন মজবুত হবে বলেও দাবি করেছেন স্থানীয় দলীয় নেতৃত্ব । এদিনের এই যোগদান শিবিরে মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কালিয়াচক ২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি ফিরোজ শেখ তৃণমূল নেতা হাসিম উদ্দিন আহমেদ সহ বিশিষ্টজনেরা। মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, বিজেপি , কংগ্রেস , দল থেকে 6 জন পঞ্চায়েত সদস্য সহ এদিন প্রায় ৫০০ জন কর্মী তৃণমূলে যোগদান করেছেন। এতদিন এরা বিরোধী দলে থেকেও যোগ্য মর্যাদাটুকু পান নি । এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের ওপর ভরসা করেই তাঁরা তৃণমূলকেই বেছে নিয়েছেন। এদিন একটি জনসভার মাধ্যমে এই যোগদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেখানে যোগদানকারী বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের হাতে তৃণমূলের ঝান্ডা তুলে দেওয়া হয়।

রাজ্য

মর্জিনার জীবন: যেখানে দারিদ্র্য চিৎকার করে, তবু স্বপ্ন মরে না।

Saturday : যে বয়সে হাতে বই-খাতা থাকা উচিত, সে বয়সে হাঁড়ি-পাতিল, কাপড় কাচা আর অসুস্থ বাবার দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে প্রতিদিন নতুন করে বাঁচার চেষ্টা করে ছোট্ট মেয়েটি—মর্জিনা খাতুন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের মোহনা পঞ্চায়েতের গয়েশপুর গ্রামে জন্ম নেওয়া মর্জিনার জীবন যেন একটি মর্মান্তিক বাস্তবতার কাহিনি। বর্তমানে সে গোপালগঞ্জ রঘুনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। তার এক সমবয়সী ভাই স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। তবে মর্জিনার পরিবারের পরিস্থিতি যে কোনও সাধারণ পরিবারের চেয়ে অনেক বেশি জটিল। বাবা মকসেদুল মন্ডোল মন্ডোল প্যারালাইসিসে আক্রান্ত, সম্পূর্ণ শয্যাশায়ী না হলেও কাজকর্মে পুরোপুরি অক্ষম। মা মানসিক ভারসাম্যহীন এবং বেশিরভাগ সময়ই বাড়ির বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়ান। সংসারে নেই কোনো স্থায়ী উপার্জনের উৎস। কোনোরকমে ভিক্ষা করে আর স্থানীয় কিছু মানুষের দয়া-সহানুভূতির ওপর নির্ভর করেই চলছে তিনজনের জীবন। তাদের বাসস্থানটি এতটাই জরাজীর্ণ ও অব্যবস্থাপূর্ণ যে সেটিকে বাসযোগ্য বলা কঠিন। বৃষ্টির দিনে ছাদ চুইয়ে পড়ে জল, বাড়ির আনাচে-কানাচেতে মাঝেমধ্যে দেখা যায় বিষধর সাপ। নেই কোন বিদ্যুৎ সংযোগ। শুধু তাই নয়, বাড়ির এমন অবস্থা যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র রাখারও কোনও সুরক্ষিত জায়গা নেই। সবকিছু যেন এক অনিশ্চয়তা ও শঙ্কার মাঝে ডুবে থাকা জীবন। এই অবস্থাতেই মর্জিনার প্রতিদিন শুরু হয়, সকালে রান্না করে বাবাকে স্নান করিয়ে খাইয়ে সেবা যত্ন করে এবং ঘরের কাজ শেষ করে সে স্কুলে যায়। মর্জিনা পড়াশোনায় হয়তো খুব উজ্জ্বল নয়, কিন্তু তার আগ্রহ ও নিষ্ঠা প্রশ্নাতীত। স্কুলের শিক্ষকরা জানান, "ওর মতো মেয়ে আজকের দিনে দুর্লভ। এত কষ্টের মধ্যেও পড়াশোনার প্রতি ওর টান আমাদের অভিভূত করে। ও যদি একটু সহায়তা পায়, ভবিষ্যতে অনেক কিছু করতে পারে।" গ্রামের কিছু সহৃদয় মানুষ মাঝে মাঝে খাবার, পুরনো জামাকাপড় বা কিছু অর্থ দিয়ে সহায়তা করেন। কিন্তু তা স্থায়ী নয়। মর্জিনার মতো শিশুরা সরকারি সাহায্য, সমাজের সচেতন শ্রেণির সহানুভূতি ও সংহতির অপেক্ষায় দিন গোনে। স্কুলে যাওয়া থেকে শুরু করে জীবনধারণের ন্যূনতম চাহিদা—সবই এখানে সংগ্রামের সমার্থক। এই পরিবারটির কথা জানার পর স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ হওয়া জরুরি। সরকারি সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প যেমন — ‘আবাস যোজনা’, ‘প্রতিবন্ধী ভাতা’ ‘অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনা’ ইত্যাদি প্রকল্পের আওতায় এনে মর্জিনাদের জীবন কিছুটা হলেও সহজ করা সম্ভব। মর্জিনার জীবন একটি প্রশ্নচিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে সমাজের সামনে—একটি শিশু কতটা দুঃখ সহ্য করে বড় হতে পারে? সেই প্রশ্নের জবাব আমাদেরই দিতে হবে, আজ না হোক কাল। কারণ, এই শিশুটির স্বপ্ন হারিয়ে গেলে শুধু একটিই জীবন নয়, হেরে যায় একটি সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ, হারে যায় সমাজ। এই বিষয়ে মোহনা পঞ্চায়েত এর প্রধান সুনীল সরকার সরকার কে প্রশ্ন করলে,তিনি যানান,মকসেদুল তার সাহায্যের বিষয়ে কোন আবেদন যানান নি,তবে এক গ্রাম বাসী যানান মকসেদুল মন্ডোল বহুবার সেখানকার বিধায়ক তরাপ হোসেন মন্ডোল কে যানিয়েও কোন লাভ হয়নি।।।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে অবৈধভাবে চলছে গ্যাস রিফিলিং

Saturday : দক্ষিণ দিনাজপুর :কার্যত প্রশাসনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন জায়গায় অলিগলিতে মুড়ি মুড়কির ন্যায় অনিয়ন্ত্রিত উপায়ে অবৈধভাবে চলছে গ্যাস রিফিলিংয়ের কাজ । পাড়ার মুদির দোকান ও অনেক বসতবাড়িতে অনিয়ন্ত্রীতভাবে গ্যাস ভর্তির কাজ হচ্ছে। এইসব পাড়া বা দোকানের সামনে দিয়ে গেলে গ্যাসের তীব্র গন্ধ সবসময় পাওয়া যায় । তা থেকে যখন তখন ঘটতে পারে মারাত্মক ও ভয়াবহ ঘটনা। তাছাড়া একটি বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অসাধু ব্যবসায়ীরা গ্যাস খোলা বাজারে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্যাস ব্যবসায়ী বলেন, ‘বাজারে এই গ্যাসের চাহিদা প্রচুর । আমাদের দোষ দিয়ে লাভ কি, খরিদ্দার চায় তাই আমরা বিক্রি করি। বাড়ির গ্যাস শেষ হয়ে গেলে অনেক সময় বুকিং করে পাওয়া যায় না, তখন তারা বাজারের এই খোলা গ্যাসের উপর নির্ভরশীল। জানি কাজটা অবৈধ ও মারাত্মক কিন্তু কি করবো পেট চালাতে হবেতো।’ প্রসঙ্গত, জেলার সদর শহর বালুরঘাট সহ বুনিয়াদপুর ও গঙ্গারামপুরের বিভিন্ন পাড়ার দোকান বা রাস্তার ধারে বিভিন্ন জায়গায় দোকান গুলিতে উঁকি দিলেই দেখতে পাওয়া যায় গ্যাস ভর্তির কাজ চলছে। এসবকিছুই প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘটছে । তবুও তাদের এব্যাপারে কোনও হেলদোল নেই। নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে প্রশাসন । এই বিষয়ে এক পরিবেশবিদ ও সাহিত্যিক দিলীপ তালুকদার বলেন, ‘অনিয়ন্ত্রীত ও অবৈধভাবে গ্যাস ভর্তির কাজটা যেমন খুব ঝুঁকির তেমনি এটা বেআইনি কাজও বটে । জানিনা প্রশাসন সব জেনেও চুপ কেন ? অতি স্বত্তর বেআইনি গ্যাস ভর্তির কাজগুলিকে প্রশাসনের বন্ধ করা দরকার। এটাও ঠিক যারা একাজ করছেন তারা শুধুমাত্র পেটের দায়ে করছেন । বাজারের জিনিষের দাম অগ্নিমূল্য হওয়াতে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকেই, তাই তারা অধিক মুনাফা লাভের আশায় এই কাজ করছেন। আসলে সর্বোপরি সরকারকে অর্থনৈতীক ব্যবস্থা ও দ্রব্যমুল্যের সঠিক ভাবে নিয়ত্রণ করা দরকার।’

ইন্টারনেটের যুগে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার সিনেমা হলগুলি

Friday : দক্ষিণ দিনাজপুর: ডিজিটাল জেনারেশানের সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম ইন্টারনেটের প্রভাবে বর্তমানে হারিয়ে যাচ্ছে প্রাচীন বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম সিনেমা হল। সারা রাজ্যের পাশাপাশি দক্ষিন দিনাজপুর জেলাতেও বহু সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে। আবার কোন কোন সিনেমা হল খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে এখন। এমন কিছু সিনেমা হল এর সন্ধানে বেরিয়ে ধরা পড়লো কিছু ছবি।দর্শক না থাকার দরুন দিনের পর দিন লোকসানে পড়া বিভিন্ন সিনেমাহলের মালিক কর্তৃপক্ষ। এক এক করে বহু পুরাতন সিনেমাহল গুলি বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে বছরের পর বছর সিনেমা হলের বহু কর্মী কাজ হারিয়ে অন্য পেশায় চলে গিয়েছেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুর সহ বুনিয়াদপুরে ছিল অনেক সিনেমা হল। সে আজ থেকে বছর দশেক আগেকার কথা। ওই সময় এইসব সিনেমা হল গুলিতে রমরমা বাজার ছিল। সারাদিন কাজের পর সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখার মজাটাই ছিল আলাদা। আর এইসব সিনেমা হল গুলিতে বহু কর্মী কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু সে সব এখন ইতিহাস। সময়ের সাথে বদলাচ্ছে বর্তমান পরিস্থিতি। হলে গিয়ে সিনেমা দেখার জায়গাটা আজ করে নিয়েছে সিরিয়াল। ইন্টারনেটের যুগে সিনেমা হলে গিয়ে টানা তিন ঘন্টা এক জায়গায় বসে সময় নষ্ট করার পাশাপাশি পয়সা খরচ না করে ইন্টারনেটের মাধ্যমেই ঘরে বসে পছন্দ অনুযায়ী সিনেমা দেখার জন্য আজ আর সিনেমা হলে দর্শক পাওয়া যায় না। তাই বছরের পর বছর লোকসান হতে হতে আজ এইসব এলাকার বহু সিনেমা হল গুলি বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন হলের মালিক কর্তৃপক্ষ। তার বদলে সেই সিনেমা হল গুলি পরিণত হয়েছে গুদামে। আর জেলার কয়েকটি এলাকার সিনেমা হলগুলি দর্শক না হওয়ায় টিপটিপ করে লন্ঠনের আলোর মতো চলছে। বুনিয়াদপুরের এক বিনোদন প্রেমী বিশ্বপ্রীয় সাহা দুঃখের সাথে জানান, আগে প্রচুর মানুষ সিনেমা হলে আসতো সিনেমা দেখতে কিন্তু এখন আর আসে না তার কারণ একটাই এখন ভালো কোনো সিনেমা তৈরি হচ্ছে না সমস্ত তাই হচ্ছে শহরকেন্দ্রিক। তাই গ্রাম বাংলার মানুষরা এই সিনেমা দেখতে আর আসছে না সিনেমা হলে। এর পাশাপাশি হাতের মুঠোয় ইন্টারনেট মোবাইল এবং ইউটিউব চলে আসায় নিত্যনতুন সিনেমাটা তারা পেয়ে যাচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে তাই আর তাদের আসতে হচ্ছে না সিনেমা হলে ফলে আজ সিনেমা হল গুলি ঢুকতে বসেছে। আগামীতে লাভের মুখ না দেখতে পেলে সিনেমা হল গুলি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হল মালিকের একাংশ। অপরদিকে জেলার বুনিয়াদপুরের একটি ঐতিহ্যবাহী গৌরী সিনেমা হলের মালিক ফান্টু সেন জানান কতদিন তারা আর লোকসানে বিনোদন দিবেন মানুষকে নিজেদের ঘরের পয়সা ঢেলে। কারণ একটা সিনেমা আনতে যেমন প্রচুর খরচ সাপেক্ষ তেমনি সারা মাসে সিনেমা চালিয়ে তার সিকিভাগও লাভ উঠে আসে না। তাই বাধ্য হয়ে সিনেমা হল তারা বন্ধ করে দিয়েছে কিন্তু কিছুই করার নেই প্রচুর মানুষ বেকার হয়ে গেছে এখন সেই সিনেমা হলে মালপত্র রাখা হয়। অপরদিকে জেলার এক উঠতি যুবক শান্তনু ঘোষ জানান, একটা সময় তারা বাড়ির সকলে মিলে এসে সিনেমা হল গুলিতে সিনেমা দেখতে আসতো কত মজা হত কিন্তু আজ সেই মজা নেই কারণ এখন সেই সিনেমা হল গুলি আগের অবস্থায় নেই। পাশাপাশি হাতের মুঠোয় এখন ইন্টারনেট মোবাইল চলে আসায় এখন সব সিনেমায় সঙ্গে সঙ্গে মানুষ দেখে ফেলছে ফলে সিনেমা মুখী হওয়ার প্রবণতা কমে গেছে মানুষের মধ্যে। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। অপরদিকে বর্তমানে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে জেলার বুনিয়াদপুর গৌরী সিনেমা হলের পাশে দীর্ঘদিন ধরে পান বিড়ি সিগারেটের দোকানদার নিতাই সরকার জানালেন তিনি দীর্ঘ ২০ বছর ধরে এই সিনেমা হলের পাশে দোকান করছেন একটা সময় প্রচুর মানুষ সিনেমা দেখতে আসতো তার চোখে দেখা হিমশিম খেতে হত মানুষকে লম্বা লাইনে টিকিট কাটার ধুম ছিল আলাদাই কিন্তু আজ সেই সব হারিয়ে গেছে এখন হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন দর্শক ভীড় জমান সিনেমা হলে।একটা সময় নির্জন জায়গায় টানা তিন ঘন্টা সকলের অজান্তেই প্রেমিক – প্রেমিকাদের উৎসাহ যোগাতে নির্জন জায়গায় টানা তিন ঘন্টা নিরিবিলি তে প্রেমিক যুগল সিনেমা দেখার জন্য বক্সের ভাড়া ছিল আকাশ ছোঁয়া। এইভাবে লোকসান ঠেকাচ্ছিলেন হল কর্তৃপক্ষরা। কিন্তু সেখানেও বাধা দিল পুলিশ। ইতিমধ্যে বিভিন্ন সিনেমা হল গুলির ওইসব বক্সে রেট করে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েছে অনেক প্রেমিক প্রেমিকাও। সব মিলেয়ে বর্তমানে সিনেমা হল গুলি এখন ধুঁকছে ।

জগদ্দল বিধানসভার বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের সহযোগিতায় ৩২ তম বর্ষে পদার্পণ করল শ্রী শ্রী শান্তি হরিচাঁদ মন্দির বাৎসরিক উৎসব।

Thursday : মতুয়া সংঘাধিপতি ও রাজ্যসভায় সাংসদ মমতা বালা ঠাকুরের নির্দেশে এবং জগদ্দল বিধানসভার বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের সহযোগিতায় ৩২ তম বর্ষে পদার্পণ করল শ্রী শ্রী শান্তি হরিচাঁদ মন্দির বাৎসরিক উৎসব। উৎসবের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যারাকপুর লোকসভা সাংসদ পার্থ ভৌমিক জগদ্দল বিধানসভা বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তি ফাউন্ডেশনে কর্ণধার পায়েল ঘোষ (বড়ুয়া), জগদ্দল থানার আইসি মহাবীর বেরা সহ তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক জনপ্রতিনিধি ও নেতৃত্ববৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মতুয়া ধর্ম প্রচারক নান্টু হালদার। এছাড়া এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত প্রায়ই শতাধিক পাগল ঘোষাই দলপতিবৃন্দ।

দেশ

বীরভূমের পুরন্দরপুরে ইউফোরিয়া যুব গোষ্ঠীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো বিনামূল্যে রক্ত পরীক্ষা শিবির।

Tuesday : বীরভূমের পুরন্দরপুরে ইউফোরিয়া যুব গোষ্ঠীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো বিনামূল্যে রক্ত পরীক্ষা শিবির। কলকাতার Health view Digonastic এর সহযোগিতায় এই রক্ত পরিক্ষা শিবিরে উপস্থিত ছিলেন সৈকত ঘোষ,রামকৃষ্ণ দাস এবং এর মতো বিশিষ্ট টেকনিশিয়ান রা । প্রায় জন মতো এই শিবিরে রক্ত পরীক্ষা করান। এই ক্লাবের সদস্যরা জানিয়েছেন যে বিগত বছরগুলিতে তাঁরা বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কাজকর্ম চালিয়ে আসছেন, এবছরে তারা রক্ত পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করেছেন। পরবর্তীকালে তাঁরা আরো বড় কোনো সামাজিক কাজকর্ম করতে চলেছেন এমনটাই ইঙ্গিত পওয়া যাচ্ছে ইউফোরিয়া যুব গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে। ক্লাবের এই ধরনের উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানিয়েছে পুরন্দরপুরের বাসিন্দারা।

বংশপরম্পরায় আজও প্রাকৃতিক নিয়মে চুন প্রস্তুত করছেন তামলিরা

Tuesday : জয়দীপ মৈত্র,দক্ষিণ দিনাজপুর: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ব্যাবসার প্রতিষ্ঠিত শহর গঙ্গারামপুর শহরের ১নং ওয়ার্ডের কাদিঘাট এলাকায় দীর্ঘ ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে বংশপরম্পরায় প্রাকৃতিক উপায়ে ঝিনুক থেকে চুন প্রস্তুত করছেন তামলি সম্প্রদায়ের ৫ পরিবারের সদস্যরা । এই সদস্যদের চুন তৈরি করে রুজিরোজগার হয় । এই তামলি সম্প্রদায়ের ৫ পরিবারের সদস্যরা ১৫-২০ হাজার টাকা আয় করলেও গ্রাম থেকে ঝিনুক সংগ্রহ করতে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয় তাতেই তাদের প্রায় সব চলে যায়। গ্রাম থেকে ২০০ টাকা করে ঝিনুক কিনে বাড়িতে নিয়ে এসে চুন প্রস্তুত করে ৩ টাকা প্যাকেট হিসেবে বিক্রি করা হয় । এই বিষয়ে চুন প্রস্তুতকারী বিজয় তামলি ও বিমল তামলি জানান, প্রাকৃতিক ভাবে এই চুন প্রস্তুত করা এবং নানান গ্রাম থেকে নদীর ঝিনুক কিনে নিয়ে সংগ্রহ করেন এবং সেগুলো গাড়ি করে নিয়ে এসে সেখান থেকে চুন তৈরি করেন । এই চুন তৈরি করার কাজটিও বেশ খাটুনির । ২৪ ঘন্টা ধরে বড় বড় উনুনে পোড়ানো হয় । এরপর চুন তৈরি করার শেষে তাকে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে আবার তাকে জল দিয়ে রেখে তিন ঘন্টা ঘোলাতে হয়। তারপর কাপড়ে ছেঁকে রাখার পর সেটি যখন আস্তে আস্তে জমতে শুরু করে তখন বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয় এবং সেটিকে প্যাকেট করে গ্রামে গঞ্জে হাটে বাজারে বিক্রি করেন । এই চুন শুধুমাত্র পানে খাওয়ার জন্য বিক্রি হয় । কিন্তু বর্তমানে পাথরের চুন বাজারে ঢুকে যাওয়ায় তাদের ব্যবসা মার খেয়েছে, পাশাপাশি লাভের মুখ তারা খুব কমই দেখেছে বলে তারা জানান । সরকারি সহযোগিতা থাকার ফলে তাদের লক্ষ্মীর ভাঁড় পূর্ণ হচ্ছে বলে জানান তারা। তাই বাপ-ঠাকুরদার হাত ধরে বংশ পরম্পরায় চলে আসা তামলি সম্প্রদায়ের প্রাকৃতিক নিয়মে চুনপ্রস্তুত ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখতে আজও কার্যত প্রাকৃতিক নিয়মে চুন প্রস্তুত করে চলেছেন ৫ টি পরিবারের সদস্যরা। তবে এই প্রাকৃতিক নিয়মের চুল প্রস্তুতের বিষয়টি যেমন লাভজনক তেমনি স্বাস্থ্যকর।

লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, জেনেনিন কেন এই পদটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।

Wednesday : Sahin bangla : - প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি ও সাংসদ রাহুল গান্ধীকে এখন সংসদে নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে। লোকসভায় বিরোধী দলনেতা হবেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস প্রোটেম স্পিকার ভাত্রিহরি মাহতাবকে চিঠি লিখে এ বিষয়ে অবহিত করেছে। ২০১৪ সালে মোদী সরকার গঠনের পর, লোকসভার বিরোধী দলের নেতার পদটি গত ১০ বছর ধরে খালি রয়েছে। তবে এখন লোকসভায় বিরোধী দলের নেতার ভূমিকায় থাকবেন রাহুল গান্ধী। ভারতীয় গণতন্ত্রে এমন অনেক পদ রয়েছে, যেগুলিকে অত্যন্ত শক্তিশালী বলে মনে করা হয়। এর মধ্যে বিরোধীদলীয় নেতার পদও রয়েছে। সম্ভবত এই কারণেই রাহুল গান্ধী এর জন্য প্রস্তুত। রাহুল গান্ধী ক্যাবিনেট মন্ত্রীর মর্যাদা পাবেন এবং সেই অনুযায়ী বেতন ও সুযোগ-সুবিধা পাবেন। বিরোধীদলীয় নেতার মর্যাদা রয়েছে ক্যাবিনেট মন্ত্রীর। এটি একমাত্র কারণ নয় যার কারণে এই পোস্টটিকে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। লোকসভায় বিরোধী দলের নেতার পদে থাকা সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সমান বেতন পান এবং সেই অনুযায়ী ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পান। বিরোধীদলীয় নেতা প্রতি মাসে বেতন পান ৩.৩০ লাখ টাকা। এছাড়াও, ক্যাবিনেট মন্ত্রীর বাসভবনের স্তরের একটি বাংলো পাওয়া যায়। এছাড়া গাড়িসহ চালকের সুবিধাও রয়েছে। এছাড়া দায়িত্ব পালনে ১৪ জনের একজন কর্মী রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি অনেক যৌথ সংসদীয় প্যানেল এবং নির্বাচন কমিটিরও একজন অংশ। এর মধ্যে রয়েছে সিবিআই-এর ডিরেক্টর, সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনার, ভারতের নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার, প্রধান তথ্য কমিশনার, লোকায়ুক্ত এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়োগ বাছাই করে। বিরোধী দলের নেতা হিসেবে রাহুল গান্ধীর এই সিদ্ধান্তে সরাসরি হস্তক্ষেপ থাকবে। এই কমিটির সিদ্ধান্তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাশাপাশি বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধীর সম্মতিও প্রয়োজন হবে। রাহুল গান্ধী সিবিআই এবং অন্যান্য সংস্থাগুলি নিয়ে সরকারকে কোণঠাসা করে চলেছেন। এমতাবস্থায়, এখন এসব সংস্থার শীর্ষ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রেও তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। এর পাশাপাশি, রাহুল গান্ধী, বিরোধী দলের নেতা হিসাবে, অ্যাকাউন্টস কমিটির প্রধানও হবেন। এমতাবস্থায়, সরকারের অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তের উপর কড়া নজর এবং সেগুলি পর্যালোচনা করতেও সক্ষম হবে। শুধুমাত্র অ্যাকাউন্টস কমিটিই সরকারি খরচ যাচাই করে, তাই রাহুল গান্ধী স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিরোধী দলের নেতা হওয়ার পাশাপাশি এই দায়িত্ব পেতে চলেছেন।

বিশ্ব

মহিলাদের স্বশক্তিকরণ করার লক্ষ্যে ওয়ার্ল্ড ট্র্যাডিশনাল শোতোকান ক্যারাটে ফেডারেশনের দক্ষিণ দিনাজপুর শাখার উদ্যোগে সকল বয়সী মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে :-

Monday : জয়দীপ মৈত্র, দক্ষিণ দিনাজপুর: বর্তমান সময়ে নারী ও তাদের সুরক্ষা ভীষণ ভাবে সারা ভারতবর্ষ তথা এই রাজ্যে বিরাট প্রশ্নের মুখে । ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে শিশু কন্যার পাশাপাশি যে কোন বয়সের নারীদের সাথে স্কুল, কলেজ , বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, চাকুরিস্থল, এমন কি তার পারিবারিক বৃত্তের মধ্যেও যৌণ নির্যাতন, ধর্ষণ, গণ ধর্ষণ ও খুন ঘটে চলেছে। এটা সারা ভারতবর্ষ জুড়েই ঘটে চলেছে গত কয়েক মাস আগে এই রাজ্যে "আর জি কর কান্ড" অতি ভয়ঙ্কর ভাবে এক তরুণী ডাক্তার কে ধর্ষণ করে মেরে ফেলা হয়েছে, যার ফলে সারা রাজ্য তথা দেশ জুড়ে অভুতপূর্ব গণ আন্দোলন সংঘবদ্ধ হয়েছে, চারিদিকে হাজার হাজার ডাক্তার,নারী, পুরুষ, শিশু, বালক, বালিকা , কিশোর, কিশোরী রাস্তায় নেমেছে। তাই সমাজের মহিলাদের স্বশক্তিকরণ করার লক্ষ্যে ওয়ার্ল্ড ট্র্যাডিশনাল শোতোকান ক্যারাটে ফেডারেশনের ( নর্থ বেঙ্গল ) ,দক্ষিণ দিনাজপুর শাখার প্রধান - প্রশিক্ষক শংকর কুমার মন্ডল এর পক্ষ থেকে সমাজের সর্বস্তরের মহিলাদের নিয়ে দুর্গা বাহিনী গড়ে তুলেছেন বালুরঘাট টাউন ক্লাব ময়দানে । বর্তমানে প্রতি রবিবার করে বিকেলে চারটে থেকে সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত ২০০ এর বেশি সকল বয়সী মহিলাকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গোপালগঞ্জে রাজীব গান্ধী যুব কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দোতলায় প্রতি বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা থেকে সাতটা পর্যন্ত এবং প্রতি রবিবার সকাল আটটা থেকে এগারোটা পর্যন্ত সকল বয়সী মহিলাদের নাম নথিভুক্ত সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করা হচ্ছে । আগামী পাঁচ বছরের প্রশিক্ষণ এর জন্য প্রবেশ মূল্য ফ্রি করা হয়েছে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। শিহান শংকর কুমার মন্ডল ডিরেক্টর অ্যান্ড চিফ ইন্সট্রাক্টর ওয়ার্ল্ড ট্র্যাডিশনাল শোতোকান ক্যারাটে ফেডারেশন ( নর্থ বেঙ্গল ) মহিলাদের স্বশক্তিকরণ করার লক্ষ্যে সমাজের সকল বয়সী মহিলাদের এই দুর্গা বাহিনীতে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান করেছেন।

খেলা

রাজনীতি

নাবালিকা শ্লীলতাহানির প্রতিবাদে ডেপুটেশন ও বিক্ষোভ মিছিল।

Monday : নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তর ২৪ পরগণার হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালের ভেতরে গত ২৮শে ফেব্রুয়ারি, রবিবার, এক নাবালিকাকে শ্লীলতাহানি করার প্রতিবাদে গতকাল আইএসএফ ঐ হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। পরে হাড়োয়া থানায় দলের পক্ষ থেকে একটি ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়। ডেপুটেশনে এই বর্বরোচিত ঘটনার পূর্নাঙ্গ তদন্তের দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি, রোগীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা, হাসপাতালের ভেতরে অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ ও পর্যাপ্ত ডাক্তারের সুবন্দোবস্ত করার দাবি জানানো হয়। এই বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন অ্যাডভোকেট পিয়ারুল ইসলাম ও আয়েশা খাতুন সহ হাড়োয়া অঞ্চলের দলীয় নেতৃবৃন্দ।

৩৬ তম রাজ্য ভাওইয়া সংগীত প্রতিযোগিতা দিনহাটার বলরামপুর হাই স্কুল মাঠে আজ শুভ সূচনা হলো l

Monday : বলরামপুর : দিনহাটা ; কোচবিহার ৩৬ তম রাজ্য ভাওইয়া সংগীত প্রতিযোগিতা দিনহাটার বলরামপুর হাই স্কুল মাঠে আজ শুভ সূচনা হলো l রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ বিভাগ এবং উপজাতি বিষয়ক স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী বুলু চিক বড়াইক উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার চেয়ারম্যান পার্থ প্রতিম রায় সহ অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিদের উপস্থিতিতে ৩৬তম ভাওইয়া সংগীত প্রতিযোগিতা প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শুভ সূচনা হয় l প্রতিযোগিতা চলবে আজ ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ।

বিরোধী দল কংগ্রেসের ৪ জন পঞ্চায়েত সদস্য, ও বিজেপির ২ জন পঞ্চায়েত সদস্য সহ প্রায় ৫০০ জন কর্মী তৃণমূলে যোগদান করলেন।

Sunday : মালদা:- এবারে বিরোধী দল কংগ্রেসের ৪ জন পঞ্চায়েত সদস্য, ও বিজেপির ২ জন পঞ্চায়েত সদস্য সহ প্রায় ৫০০ জন কর্মী তৃণমূলে যোগদান করলেন।মোথাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের মোথাবাড়ির প্রধান কার্যালয়ে তৃণমূলের এই যোগদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের উপস্থিতিতেই কংগ্রেস ও বিজেপি দল ছেড়ে আসা নেতা কর্মীরা তৃণমূলের ঝান্ডা হাতে তুলে নেন । যোগদান শিবিরে উপস্থিত হয়ে তৃণমূলের দলীয় ঝান্ডা হাতে তুলে নেন । এরফলে মোথাবাড়ি বিধানসভার অন্তর্গত রথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের অনেকটাই সংগঠন মজবুত হবে বলেও দাবি করেছেন স্থানীয় দলীয় নেতৃত্ব । এদিনের এই যোগদান শিবিরে মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কালিয়াচক ২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি ফিরোজ শেখ তৃণমূল নেতা হাসিম উদ্দিন আহমেদ সহ বিশিষ্টজনেরা। মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, বিজেপি , কংগ্রেস , দল থেকে 6 জন পঞ্চায়েত সদস্য সহ এদিন প্রায় ৫০০ জন কর্মী তৃণমূলে যোগদান করেছেন। এতদিন এরা বিরোধী দলে থেকেও যোগ্য মর্যাদাটুকু পান নি । এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের ওপর ভরসা করেই তাঁরা তৃণমূলকেই বেছে নিয়েছেন। এদিন একটি জনসভার মাধ্যমে এই যোগদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেখানে যোগদানকারী বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের হাতে তৃণমূলের ঝান্ডা তুলে দেওয়া হয়।

কোচবিহারকে পৃথক রাজ্যের দাবিতে বুধবার সকাল থেকে কোচবিহারের জোড়াই রেল স্টেশনে রেল অবরোধ

Wednesday : কোচবিহারকে পৃথক রাজ্যের দাবিতে বুধবার সকাল থেকে কোচবিহারের জোড়াই রেল স্টেশনে রেল অবরোধ শুরু হয়েছে। যার জেরে উত্তর-পূর্ব ভারতের রেল যোগাযোগ কার্য়ত মুখ থুবড়ে পড়েছে। কোচবিহারকে পৃথক রাজ্যের দাবিতে আগেই এই রেল অবরোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন। এদিন সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের দাবি সম্পর্কে ভারত সরকার যতক্ষণ না কোনও সিদ্ধান্ত জানাচ্ছে ততক্ষণ এই রেল অবরোধ চলবে। অবরোধে জেরে একাধিক দুরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি ট্রেনের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। ফলে বুধবার সকাল থেকে উত্তর পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাংলার রেল যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন। বাতিল করা হয়েছে এনজিপি-গুয়াহাটি বন্দে ভারত আপ-ডাউন-সহ দুরপাল্লার কয়েকটি ট্রেন। রাজধানী এক্সপ্রেস-সহ কয়েকটি ট্রেনের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। অন্যদিকে ঘন কুয়াশার কারণে আগে থেকেই কয়েকটি ট্রেন বাতিল করার কথা আগেই জানিয়েছিল রেল। সবমিলিয়ে অবরোধের জেরে বিপর্যস্ত উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাংলার রেল যোগাযোগ। গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বংশীবদন বর্মন বলেন ১৯৪৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর চুক্তিতে যা বলা হয়েছিল তা রক্ষা করেনি ভারত সরকার। সংবিধান অনুযায়ী কোচবিহার গ ক্যাটাগরির রাজ্য। কিন্তু কেন্দ্র এখনও তার মান্যতা দিচ্ছে না। তাই কোচবিহারকে আলাদা রাজ্যের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রেল অবরোধ চলবে। বাংলা ও অসমের একেবারে সীমানায় অবস্থিত এই জোড়াই স্টেশন। ফলে রেল অবরোধের জেরে বাংলার সঙ্গে উত্তর পূর্ব ভারতের রেল যোগাযোগ পুরোপুরি থমকে গিয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন রেল ও জেলা প্রশাসনের কর্তারা। তবে কেন্দ্র আলোচনার টেবিলে না বসা পর্যন্ত অবরোধ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

রাশিফল

লাইফস্টাইল




Follow us on                  

About Us
Sahin Bangla, a pioneering digital platform, is revolutionizing the way citizens access news, information, and services.
Contact Us
Address : Cooch Behar, Cooch Behar
Call :+91 96413 64901
WhatsApp : +91 7797659493
Email : info@sahinbangla.com
Important Link
  • Disclaimer
  • Privacy Policy

  • Total Visitor : 585879